সর্বশেষ
প্রচ্ছদ / বিনোদন / চার দশকে ইত্যাদি

চার দশকে ইত্যাদি

হাওর বাংলা ডেস্ক : তিন দশক পেরিয়ে চার দশকে পদার্পণ করেছে দেশের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি। সাধারণ মানুষের সমর্থন, সহযোগিতা, ভালোবাসার কারণেই ইত্যাদি এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পেরেছে বলে মনে করেন ইত্যাদির রচয়িতা, পরিচাক ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত। তিনি মনে করেন, ‘ইত্যাদি সব বয়সের, সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান। কারণ একটি শিশুও যেমন ইত্যাদি দেখে, তেমনি তার দাদুও দেখেন।

ইত্যাদি সবার কথা বলতে চেষ্টা করে। কারণ দেশ গড়ায় সবার অবদান রয়েছে। আর তাই আমরা ইত্যাদিকে নিয়ে যাই গ্রামে-গঞ্জে, সাধারণ মানুষের কাছে।

দর্শকরা সময় বের করে আমাদের অনুষ্ঠান দেখতে বসেন। আমরাও তাদের সেই সময়ের মূল্য দিতে চেষ্টা করি। স্টুডিওর বাইরে গিয়ে অনুষ্ঠান ধারণের এই ধারণাটিকে এখন অনেকেই গ্রহণ করেছেন। ফলে টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণেও বৈচিত্র্য এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের নান্দনিক দৃশ্যাবলিতে সাজানো কিশোরগঞ্জের হাওরের মাঝখানে দ্বীপের মতো ভেসে থাকা মিঠামইনের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হামিদ পল্লীতে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কিশোরগঞ্জের অসাধারণ নৈসর্গিক দৃশ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সাজানো মঞ্চে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদি। ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে ভাটির দেশ কিশোরগঞ্জে ছিল উৎসবের আমেজ। সকাল থেকেই কিশোরগঞ্জ শহর, করিমগঞ্জ, ইটনা, অষ্টগ্রাম, ভৈরব, নিকলী, কটিয়াদী, হোসেনপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত নৌকা-ট্রলারে করে হাজার হাজার মানুষ আসতে থাকেন হামিদ পল্লীতে। হাওরের মাঝখানে ছোট্ট এ পল্ল­ীটির চারদিকে হাজার হাজার নৌকা-ট্রলারের সারি এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি করেছিল। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় দুপুর ২টা থেকেই আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে থাকেন। বিকালের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় অনুষ্ঠানস্থল। আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও হাজার হাজার মানুষ হাওরের পাড়ে দাঁড়িয়ে, নৌকা ও ট্রলারের ছাদে বসে ইত্যাদির ধারণ উপভোগ করেন। হাওরের মাঝখানে এ যেন জনসমুদ্র। এত দুর্গম অঞ্চলে অনুষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও অনুষ্ঠানস্থলে প্রায় লক্ষাধিক দর্শক সমাগম হয়েছিল। বাংলাদেশের যখন যে স্থানে ইত্যাদি ধারণ করা হয় সেই স্থানটির বৈশিষ্ট্যকে কেন্দ্র করেই সেট নির্মাণ করা হয়। ফলে দর্শকরা যেমন ওই স্থানটি সম্পর্কে জানতে পারেন, তেমনি নিত্য-নতুন লোকেশনের কারণে প্রতিবারই সেট নির্মাণেও আসে বৈচিত্র্য। এবারও হাওর অঞ্চলের জীবন-জীবিকা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরে জলে ও ডাঙ্গায় শতাধিক নৌকা রেখে নির্মাণ করা হয় নান্দনিক মঞ্চ। সব সময় রাতের আলোকিত মঞ্চে ইত্যাদি ধারণ করা হলেও এ স্থানের নৈসর্গিক রূপ রাতের বেলায় দেখানো সম্ভব নয় বলে এবার দিনের আলোর পড়ন্ত আভায় ইত্যাদির ধারণ শুরু হয়। গণমানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির মিঠামইনের এ পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে ৪ অক্টোবর, শুক্রবার-রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদির রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদি স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *